চুরির সন্দেহে সাংবাদিকদের আটকে রাখার ঘটনায় অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে করা মানহানি মামলায় অভিযোগের সত্যতা পায়নি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব রহমান এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তবে পুলিশের প্রতিবেদনের ওপর নারাজি পিটিশন দিয়ে পুনরায় তদন্ত চাইবেন বলে আদালতকে জানান মামলার বাদী নুজহাতুল হাসান।
এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট জিয়াউর রহমান প্রতিবেদন ওপর নারাজি পিটিশন দাখিলের জন্য আগামী ২৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। মামলার বাদী নুজহাতুল হাসান নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান থেকে শমী কায়সারের দু’টি স্মার্টফোন চুরি হয়ে যায়। ওই অনুষ্ঠানে প্রায় অর্ধশত সাংবাদিক ও ক্যামেরা পারসন এবং শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। হারানো মোবাইল সাংবাদিকরা চুরি করেছেন বলে গেট আটকে রাখেন এবং সবাইকে তল্লাশির কথা বলেন। পরে টেলিভিশন ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বাইরের একজনের কাছ থেকে মোবাইল দু’টি পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে ৩০ এপ্রিল স্টুডেন্ট জার্নাল বিডির সম্পাদক নুজহাতুল হাসান দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় এ মানহানি মামলাটি দায়ের করেন।
এরপর আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ায় জন্য শাহবাগ থানাকে নির্দেশ দেন।
বাদী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আসামির আচরণ বাদী ও দেশের সাংবাদিক সম্প্রদায়সহ সমাজের অন্য মহলের জন্য অত্যন্ত মানহানিকর ও অপমানজনক। আসামির এরকম আচরণ অনলাইনে প্রচারিত হওয়ায় বাদী ও সাংবাদিকদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সাংবাদিকদের চোর আখ্যায়িত করে দেশ ও জাতির কাছে বাদীর ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন আসামি।
সূত্র, বাংলানিউজ ২৪.কম